শান্তিনিকেতনের উত্থান
শান্তিনিকেতন
আগে ভুবনডাঙা হিসাবেই পরিচিত ছিলো।
পশ্চিমবঙ্গের রায়পুরের জমিদার ভুবনমোহন সিনহার
নামেই এলাকার নামকরণ হয়েছিল
ভুবনডাঙা ।১৮৬২
সালে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর
রায়পুর গিয়ে এই এলাকার
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ হন ।
সেই সময় সেখানে শান্তিনিকেতন
নামে একটিই বাড়ি ছিলো
। সিনহা পরিবারের কাছ
থেকে এক টাকার বিনিময়ে
বোলপুর শহরের উত্তরে এই এলাকা কিনে
নেন শিলাইদহের জমিদার দেবেন্দ্রনাথ ।
ওই বাড়ির নামেই এলাকার
নামকরণ করা হয় শান্তিকিকেতন
।১৮৬৩ তিনি
নিভৃতে ঈশ্বর চিন্তার জন্য
সেখানে একটি আশ্রমের প্রতিষ্ঠা
করেন ।
১৯০১
সালে রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনে একটি ব্রহ্ম বিদ্যালয়
স্থাপন করেন । পরবর্তী
কালে যা বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়
হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে । পাঠভবনের
মাধ্যমে এর যাত্রা শুরু।
রবীন্দ্রনাথ ১৯১৩ সালে নোবেল
পুরস্কার পাবার পর ১৯২১
সালের ২৩শে ডিসেম্বর এটি
বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়। ১৯৫১
সালে এটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের
স্বীকৃতি পায় । বর্তমানে
ভারতের প্রধানমন্ত্রী এই
বিদ্যালয়ের আচার্য ( চ্যান্সেলর
)।
এই বিদ্যালয়ের প্রাক্তনী দের মধ্যে রয়েছে অমর্ত্য
সেন সত্যজিত রায়, সতেন্দ্রনাথ
বসু , সৈয়দ মুজতবা আলী,
রামকিঙ্কর বেজ , যোগেন চৌধূরী
, মহাশ্বেতা দেবী, কনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়
, সুচিত্রা মিত্র প্রমূখ ।
উত্তরায়ন
কমপ্লেক্সে রবীন্দ্রনাথ মোট পাচটি বাড়ি
রয়েছে যথা উদয়ন , কোনার্ক
,শ্যামলী, পুনশ্চ ও উদীচী
।
এখানকার
কাঁচ মন্দিরের কাছে একটি
মাটির গোলাকৃতি বাড়ি আছে যার
মাঝখান দিয়ে একটি তাল
গাছ উঠে গিয়েছে প্রকৃতি
প্রেমিক তেজশচন্দ্র সেনের
জন্য এটি তৈরি হয়েছিলো
।
১৯২১ সালে রবীন্দ্রনাথের ছোট
মেয়ে মিরার জন্য মালঞ্চ
নির্মিত হয়েছিল শান্তিনিকেতনে ।
দীনেন্দ্রনাথ
ঠাকুরের স্মৃতিতে তৈরি হয় চা
চক্র , তৈরি করেন তার
স্ত্রী কমলাদেবী ।
শান্তিনিকেতনের
গৌড় প্রাঙ্গণ শান্তিনিকেতনের ছাত্র ও শিক্ষক গৌরগোপাল
ঘোষের নামে নামাঙ্কিত ।
১৯২৩ সালে সুসেন মুখোপাধ্যায় আমার
কুটির প্রতিষ্ঠা করেন।
No comments