Mahalaya
![]() |
Durga |
TRP বলে একটা কথা এখন প্রায়ই শোনা যায়। সেই অনুসারে সর্বকালের
সেরা TRP র রেডিও অনুষ্ঠানের নাম করলে একটাই নাম উঠে আসবে
‘মহিষাসুরমর্দিনী’। বাঙ্গালীর কাছে এক নস্টালজিয়া, যে সুর শুনলে আজও শিহরন জাগে।
এত বছর ধরে একরকম স্থান ধরে রাখার রহস্য কি? বোধহয় শিল্পিদের দক্ষতা বা অসাধারন
পরিবেশন গুন এর পাশাপাশি তাঁদের ‘ডেডিকেশন’ ও ‘ডিসিপ্লিন’। মহালয়ার আগে একমাস ধরে
চলত মহিষাসুরমর্দিনীর মহড়া/রিহার্সাল। তখন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়
খুব ব্যাস্ত থাকতেন ফলে তারপক্ষে একমাস ধরে মহড়া দেওয়া ছিল একপ্রকার অসম্ভব, তাই তাঁর জায়গায় দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়কে নিতে একবার
ও ভাবেননি মহালয়া অনুষ্ঠান এর সুরকার পঙ্কজ মল্লিক।
কোনও শিল্পীর এই
মহড়া অগ্রাহ্য করার উপায় ছিলনা। মহড়াতে না যোগ দিলে সম্পূর্ণ অনুষ্ঠান থেকে তিনি
বাদ যাবেন এমনই কড়া ছিলেন পঙ্কজবাবু।তবুও অনেক শিল্পী এই কড়াকড়ি ফাঁকি দিয়েছেন বলে নানা মজার
গল্প প্রচলিত আছে।
অনুষ্ঠানটি প্রথম
সম্প্রচার হয়েছিল ১৯৩১ সালে (live)। সংস্কৃত বিথি কাব্যশৈলী মতে বানীকুমার এটি লিখেছিলেন
চণ্ডীপাঠ করেছিলেন বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র, সঙ্গীত পরিচালনা করেছিলেন পঙ্কজকুমার
মল্লিক। সমগ্র অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেছিলেন প্রেমকুমার আতর্থী,বীরেন্দ্রকৃষ্ণ
ভদ্র,নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ মুখ্যোপাধ্যায় ও রাইচাঁদ বড়াল।
“রেডিওর তো সব হাওয়ায় বেরিয়ে যায়, এটা হল হাওয়ার তাজমহল”-জগন্নাথ
বসু
প্রথমদিকে সরাসরি
সম্প্রচার হলেও ১৯৬৬ সাল থেকে এটির রেকর্ডিং বাজানো হয় যা আমরা শুনছি।
প্রতিটি বিখ্যাত
জিনিসের মত মহালয়ারও বিরোধিতা হয়েছিল, অব্রাহ্মণ বীরেন্দ্রকৃষ্ণের গলায় চণ্ডীপাঠ
অনেকেই মেনেনিতে পরেননি। কিন্তু কোনও কিছুর তোয়াক্কা নাকরে এই অনুষ্ঠানই চলতে
থাকলো।
১৯৭৬ সালে R.N.DAS এর নেতৃত্বে
আকাশবাণীতে ঠিক হয় নতুন কিছু করা হবে, লতা মঙ্গেশকর,হেমন্ত মুখপাধ্যায়
উত্তমকুমারের মত তাবড় শিল্পী থাকা সত্ত্বেও মুখ থুবড়ে পড়েছিল। হইচই পড়ে গিয়েছিল
চারিদিকে, দিল্লি থেকে ডাক পড়েছিল আকাশবাণী কর্তার।
২০০২ সালে HMV ১৯ টি গান সহ মহিষাসুরমর্দিনীর ক্যাসেট প্রকাশ করে।
No comments