স্পর্শ
স্পর্শ
প্রথম যে জিনিসটা খুব বেশি স্পর্শ করত, তা হচ্ছে বাড়ির সামনের খেলার মাঠ। পড়ালেখা
ফাঁকি দিয়ে কখন যে বের হয়ে যাবো, সেই চিন্তা থাকত। বই এর সামনে আমি বসে থাকতাম, মন থাকত খেলার মাঠে। মনে হতো খেলার জন্য সব
কিছু ত্যাগ করতে পারব।
এরপর স্পর্শ করত আড্ডা। বন্ধুদের সাথে কথা বলতে বলতে কত সময় পার হয়ে যেতো।
কথা গুলোর সারমর্ম কিছুই থাকত না। তারপর ও মনে হত কত দরকারি কথা। না বললে পৃথিবীর
ধ্বংস অনিবার্য। ক্লাস ফাঁকি দিয়ে সিনেমা দেখতে চলে যাওয়া, সাইকেল নিয়ে এক সাইকেলে দুজন করে চড়ে আজগুবি
যত জায়গা আছে,
সব দেখতে যাওয়া সহ কত
কি স্পর্শ করত।
এরপর এমন একজনের সাথে দেখা হয়েছে, যার জন্য পৃথিবী ধ্বংস করাও সহজ মনে হতো।
ক্লান্ত আমি কলেজ থেকে ফেরার পথে দেখা। প্রাণবন্ত পৃথাকে দেখে কি যে ভালো লেগেছিল ঐ দিন। আমার মন স্পর্শ
করে গেলো। এরপর থেকে যতবার পৃথার সাথে দেখা হয়, কেমন জানি এক অদ্ভুত অনুভূতি হয়। সম্ভবত ঐ
অনুভূতিটারও নামই প্রেম। পৃথার জন্য ভালোবাসা।
সে সময় থেকে পৃথার সাথে থাকা, পৃথার সাথে কথা বলা ছাড়া আর কিছুই স্পর্শ করত
না। পৃথার পাগলামি গুলো বেশি ভালো লাগত। পাগলামি গুলোর সাথে থাকাই ছিল আমার কাছে
পরমানন্দ।
পৃথা যখন আমার হৃদয়ে সম্পুর্ণ জায়গা করে নিল। যখন থেকে ভেবেছি পৃথা সম্পুর্ণ
আমার,
তখন থেকেই কীভাবে জানি
পৃথা আস্তে আস্তে দূরে সরে যেতে লাগল। এক সময় নিজের দিকে তাকিয়ে দেখি শূন্য একটা
মানুষ। যাকে আর কিছুই স্পর্শ করে না।
No comments