ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকের চিকিৎসা করালে গজাবে চুল

মাথার টাক ঢাকতেই অনেকে হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট করে থাকেন কিন্তু ত্বক যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তবে সেই অংশে এই হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট করে কিছু লাভ হয় না। এই সমস্যা মেটাতে এগিয়ে এসেছেন বিজ্ঞানীরা । আমেরিকার নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটির স্কুল অফ মেডিসিন এর গবেষণা, ‘কেন ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকের স্বাভাবিক ভাবে চুল গজায় না’

তাদের এই গবেষণার জার্নাল ন্যাচার কমিউনিকেশন এ প্রকাশিত হয়েছে তাতে গবেষণাগারে তৈরি করা ওষুধ ইঁদুরের উপর প্রয়োগ করে ভালো ফল মিলেছে। মূলত ফাইব্রোব্লাস্ট কোষের ওপর ভিত্তি করেই এই গবেষণা চালানো হয়েছে। প্রসঙ্গত এই ফাইব্রোব্লাস্ট থেকেই কোলাজেন নামে একটি একটি প্রোটিন জাতীয় পদার্থ বের হয়। এই পদার্থটি ত্বককে স্বাভাবিক রাখে এবং চুলের বৃদ্ধি ঘটায় ও গোড়া শক্ত রাখে।কোষ গুলি একে অপরের সঙ্গে যে পথে সংকেত আদান-প্রদান করে তা ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকে বন্ধ হয়ে যায়।
 মাতৃজঠরে শিশুর জন্মবার আগে এই কোষের পরস্পরের যোগাযোগের পথ খুব সজীব থাকে তখন চুলের গ্রন্থি কোষ তৈরি হয় কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকে অস্ত্রপাচারের ফলে এই গ্রন্থি কোষ নষ্ট হয়। কিন্তু ফাইব্রবলাস্ট এ ওষুধ দিয়ে কোষের মধ্যে যোগাযোগের পথ সজীব করে তুললে আগের মতই ওই ত্বকের চুল গজাতে পারে বলে নিউইয়র্ক অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর মেয়ুমি টো দবি করেছেন। কোন ক্ষতিগ্রস্থ ত্বকে একটি অংশের চিকিৎসা না করে এবং একই সঙ্গে ত্বকের ওপর অংশে ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করার পর তা কথাটা বোঝা গিয়েছে দেখা গিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকের কোষকে সজীব করে তুলে নতুন ফলিকল তৈরি করা যায়। সেই সঙ্গে তাতে চুল গজায় গবেষণাগারে ইঁদুরের ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকের চিকিৎসা করে দেখা গিয়েছে 4 সপ্তাহের মধ্যে তাদের চুল গজিয়েছে তা 9 সপ্তাহের মধ্যে চুলের গোড়া কে শক্ত করে তুলেছে